সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপদেষ্টা ড. আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলোচনা হবে— এমন আশ্বাসে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ছেড়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যান। রাতে সেখানেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করে। সেখান প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বৈঠক করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈঠক থেকে বের হয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি রাসেল আল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘসময় আমরা আলোচনা করেছি। হুট করে প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব নয়। তাই আগামীকাল দাবি বাস্তবায়নের জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার উপদেষ্টা আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। আগামীকাল দাবি বাস্তবায়নের জন্য যে কার্যকর আলোচনা হবে, তার একটি প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
আরেক প্রতিনিধি আবু সাঈদ সাদ বলেন, আমরা আন্দোলন এখনই শেষ করছি না। তবে, এখন আমরা যমুনার সামনে থেকে চলে যাব। শাহবাগের জাদুঘরের সামনে প্রজন্ম চত্বরে আমরা অবস্থান করব।
এরপর যমুনার সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা চলে যান। এতে করে বন্ধ হয়ে যাওয়া হেয়ার রোডের যানচলাচল শুরু হয়।
এর আগে, দুপুর সোয়া ১টার পর আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে যান। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেখানে তাদের আমরা থাকতে দেব না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
তার আগে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি জানান তারা। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
দাবি বাস্তবায়নে আলোচনার আশ্বাসে যমুনা ছাড়লেন ৩৫ প্রত্যাশীরা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপদেষ্টা ড. আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলোচনা হবে— এমন আশ্বাসে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ছেড়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যান। রাতে সেখানেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করে। সেখান প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বৈঠক করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈঠক থেকে বের হয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি রাসেল আল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘসময় আমরা আলোচনা করেছি। হুট করে প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব নয়। তাই আগামীকাল দাবি বাস্তবায়নের জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার উপদেষ্টা আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। আগামীকাল দাবি বাস্তবায়নের জন্য যে কার্যকর আলোচনা হবে, তার একটি প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
আরেক প্রতিনিধি আবু সাঈদ সাদ বলেন, আমরা আন্দোলন এখনই শেষ করছি না। তবে, এখন আমরা যমুনার সামনে থেকে চলে যাব। শাহবাগের জাদুঘরের সামনে প্রজন্ম চত্বরে আমরা অবস্থান করব।
এরপর যমুনার সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা চলে যান। এতে করে বন্ধ হয়ে যাওয়া হেয়ার রোডের যানচলাচল শুরু হয়।
এর আগে, দুপুর সোয়া ১টার পর আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে যান। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেখানে তাদের আমরা থাকতে দেব না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
তার আগে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি জানান তারা। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
এ এম জি ফেরদৌস
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
নাহিদুল ফাহিম
প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা
ইঞ্জি. মেহেদী হাসান |
প্রধান কার্যালয়
পূর্ব লিংক রোড, ঝিরংঝা, কক্সবাজার
মোবাইল
০১৮১৯-৫০২-৩২২
ই-মেইল beachnews24@gmail.com |
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: October 8, 2024, 11:47 pm